শিল্পে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে

শিল্পে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। শিল্পে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। জ্বালানি সাশ্রয় করতে শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে অর্থ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
‘শিল্পে জ্বালানি সাশ্রয় ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক এক কর্শশালায় এই তথ্য জানানো হয়। বুধবার জাইকার সহায়তায় টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) রাজধানির বিদ্যুৎ ভবনে এই কর্শশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জ্বালানী সাশ্রয়ী হতে যে বিনিয়োগ লাগবে সেটাই এর বড় বাধা। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিবেশ বাল্পব্দব জ্বালানি ব্যবহারে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। ইডকলের মাধ্যমে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাইকাও ঋণ দিচ্ছে। জাইকা এখাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।
স্রেডার চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, জাইকা প্রতিনিধি মাসাকো ইয়োসি হারা, ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ মালিক, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী পরিচালক এসএম ফরমানুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। স্রেডার সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের, ইডকলের পরিচালক ও প্রধান উপদেষ্টা নাজমুল হক, জাইকা প্রতিনিধি ইয়োসি হিকো কাটো ও ড. কিমিও ইয়োসিতা কর্মশালায় প্রবল্পব্দ উপস্থাপন করেন।
সিদ্দিক জোবায়ের তার প্রবন্ধে বলেন, প্রতিবছর প্রাথমিক জ্বালানির ব্যবহার আট ভাগ করে বাড়ছে। এরমধ্যে দেশের গ্যাসের উপর নির্ভরতা ৭০ ভাগ। কিন্তু এই গ্যাস দিন দিন চাহিদার চেয়ে কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী করার জন্য সরকার থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানে সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও তেমন উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ি ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ ভাগ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ ভাগ শিল্পকে জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে সকল শিল্পকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করা হবে। একই সময়ের মধ্যে ভবনেও যাতে জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রাশ ব্যবহার হয় সে উদ্যোগ নেয়া হবে।