শেভরনের তিন গ্যাসক্ষেত্র কিনবে পেট্রোবাংলা, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি

শেভরন পরিচালিত তিনটি গ্যাসক্ষেত্র কিনবে পেট্রোবাংলা। প্রধানমন্ত্রী এই তিন গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিতে সম্মতি দিয়েছেন। সম্পদের চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এই তিন গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। লাভ লোকসানের হিসাব পর্যালোচনা করবে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ এবিষয়ে এনার্জি বাংলাকে বলেন, সম্পদ, বিনিয়োগ, সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। কত গ্যাস আছে, কত দিন চলবে, পরিচালন খরচ কত, দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক হবে কিনা, পেট্রোবাংলার উপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ আসবে কিনা ইত্যাদি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেল এর কাঝ থেকে অল্প দামে পাঁচটি গ্যাস ক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো সে ক্ষেত্র এখন পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড ও বাপেক্স দেশের বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছে। উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করে জালালাবাদ, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানা তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে পরিচালনা করছে শেভরন বাংলাদেশ। এগুলো যথাক্রমে ১৯৮৯, ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে গ্যাস আবিস্কার হয়েছে। যে হারে গ্যাস তোলা হচ্ছে, আর যে পরিমান নিশ্চিত মজুদ আছে তাতে আগামী ১০ বছরে এই তিন ক্ষেত্রর বর্তমান নিশ্চিত মজুদ গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। এই তিন গ্যাসক্ষেত্রে নিশ্চিত, সম্ভাব্য ও সম্ভাবনা মিলিয়ে প্রায় ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। এরমধ্যে বিবিয়ানাতে আছে আট ট্রিলিয়ন ঘনফুট। মৌলভীবাজার ও জালালাবাদে দেড় টিসিএফ করে মজুদ আছে। এরমধ্যে নিশ্চিত মজুদ আছে তিন দশমিক আট ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিবিয়ানাতে নিশ্চিত মজুদ আছে তিন দশমিক ৪৮ টিসিএফ, মৌলভীবাজারে ১৪৬ বিসিএফ ও জালালাবাদে ১৮৯ বিসিএফ গ্যাস। এপর্যন্ত তিন ক্ষেত্র থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে সাড়ে তিন টিসিএফ গ্যাস। বিবিয়ানা থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে দুই দশমিক ২৭০ টিসিএফ, মৌলভীবাজার থেকে ২৮২ বিসিএফ এবং জালালাবাদ থেকে ৯৯৫ বিসিএফ গ্যাস। বর্তমানে বিবিয়ানা থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে গড়ে ১২৪ কোটি ঘনফুট, যা বাংলাদেশে মোট গ্যাস উৎপাদনের ৪০ ভাগ। জালালাবাদ থেকে ২৭ কোটি ঘনফুট, যা মোট উৎপাদনের ১০ ভাগ এবং মৌলভিবাজার থেকে চার কোটি ঘনফুট গ্যাস, যা মোট উৎপাদনের দুই শতাংশ