সকলকে সমান গ্যাস সরবরাহের সুপারিশ, সাগরে অনুসন্ধান নিয়ে অসন্তোষ
দেশের সকল স্থানে সমপরিমান গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একই সাথে সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে অগ্রগতি না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে সংসদ সদস্যরা ভবিষ্যৎ গ্যাস পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবু জাহির. আলী আজগার, এসএম, জগলুল হায়দার, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।
কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে যে কার্যক্রম নেয়ার কথা, তা করা হচ্ছে না।মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিদেশ থেকে এলএনজি কিনছি। এর জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করছি। এই এলএনজি সমুদ্র পথেই আসছে। কিন্তু যে বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছি, সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করছি না।
পেট্রোবাংলা সমুদ্র এলাকাকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করেছে। এর মধ্যে ১১টি অগভীর আর ১৫টি পড়েছে গভীর সমুদ্রে। এর মাত্র চারটি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে।
এর আগে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সাঙ্গু থেকে গ্যাস তোলা হয়েছে। সাঙ্গু ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস ১০ এবং ১১ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জরিপ চালায়। ওই জরিপে ভালো ফল পাওয়ার কথা জানায় মার্কিন কোম্পানিটি। কিন্তু গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কনোকোর দাবি সরকার মেনে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি ব্লক দুটি ফেলে চলে যায়।
বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নেয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে সারাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দেশে স্থাপিত কনডেনসেট প্লান্টগুলোতে পর্যাপ্ত কনডেনসেট সরবরাহ করার সক্ষমতা না থাকলেও মন্ত্রণালয় থেকে যাতে নতুন কনডেনসেট প্লান্ট নির্মাণের অনুমতি না দেওয়া হয়, তার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া কনডেনসেটের মূল্য যাতে আমদানি করা জ্বালানি তেলের চেয়ে বেশি না হয় এবং কোনোভাবেই কনডেনসেট যেন বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।