পাইপে করে জ্বালানি তেল আনলে টনে চার ডলার খরচ কমবে
আমদানি করা জ্বালানি তেল গভীর সমুদ্র থেকে নদীর জেটি পর্যন্ত পাইপে করে আনা হবে। এতে প্রতি টনে চার ডলার খরচ কমবে। কমে যাবে অপচয়।
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপনের এ বিষয়ে নিয়োগ দেয়া পরামর্শক তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে। বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এ সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি বিভাগের সচিব আবুবকর সিদ্দিকসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে প্রতিবেদনে এই স্থাপনায় আগের চেয়ে খরচ বেশি দেখানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইস্টার্ন রিফাইনারি কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরে ১২৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এসপিএম নির্মিত হলে প্রতিটন জ্বালানি তেল আমদানিতে চার ডলারের মতো পরিবহন খরচ কমে যাবে। এছাড়া জাহাজ থেকে তেল নামানোর জটিলতাও কমবে। দিনের পর দিন জাহাজ বসে থাকার কারণে যে জরিমানা এখন বিপিসিকে গুনতে হয় তা আর দিতে হবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসপিএম স্থাপনে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নির্মাণ কাজের শেষে চালু করার পর ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে আসবে।
গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত তেলবাহী বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) থেকে জ্বালানি তেল সরাসরি ইস্টান রিফাইনারির প্রধান তেল রাখার স্থাপনায় সরবরাহ করা হবে। এজন্য মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) টার্মিনাল নির্মিত হবে। সেখান থেকে ৭৭ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে তেল সরাসরি প্রধান স্থাপনায় যাবে।
আমদানি করা তেল গভীর সমুদ্র থেকে ছোট জাহাজে করে কর্ণফুলী নদীতে ইস্টার্ন রিফাইনারির জেটিতে আনা হয়। বছরে সাড়ে ৫৫ লাখ টন জ্বালানি তেল আনতে পারবে বিপিসি।
বৈঠকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যতদ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে।
২০১৭ সালের শেষ নাগাদ এসপিএম বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার উপযোগী হবে।