সমুদ্রের ৪ নম্বর ব্লকে গ্যাস পাওয়া যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অগভীর সমুদ্রের ৪ নম্বর ব্লকের অনুসন্ধান কূপে গ্যাস পাওয়া যায়নি। সেখানে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছিল গতবছর অক্টোবরে।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর উপকূলে। মাটির নিচে ১৩ হাজার ৭৮০ ফুট বা ৪ হাজার ২০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়। তারপর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায় সেখানে কোন গ্যাস নেই।
পেট্রোবাংলার একাধিক সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পেট্রোবাংলার সাথে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির ভিত্তিতে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) যৌথভাবে বঙ্গোপসাগরের এসএস-৪ ব্লকে অনুসন্ধান কূপ খনন করে।
ওএনজিসি প্রথমে সাড়ে ৫ হাজার লাইন-কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক জরিপ করে। তারইভিত্তিতে অনুসন্ধান কূপ খনন করে।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি-পিএসসি) প্রকৌশলী মো. শাহীনুর ইসলাম এনার্জি বাংলাকে বলেন, লিখিতভাবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ৪ নম্বর ব্লকে যে ওএনজিসি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছিল সেখানে কোন গ্যাস পায়নি বলে তারা জানিয়েছে। অগভীর সমুদ্রের ৯ নম্বর ব্লকেও এনজিসি আরও দুটো কূপ খনন করবে বলে তিনি জানান।
নতুন যে দুটো অনুসন্ধান কূপ করবে তার একবার দরপ্রস্তাব বাতিল হয়েছে। নতুন করে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। এখন তার মূল্যায়ন চলছে।

ওএনজিসির মাধ্যমে ভারতীয় কোন কোম্পানি এই প্রথম বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিল। আবার ওএনজিসির সাথে অংশীদার হয়ে বাপেক্স এই প্রথম সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে অংশীদার হল।
উৎপাদন অংশীদারী চুক্তির (পিএসসি) আওতায় ২০১৪ সালে পেট্রোবাংলার সাথে চুক্তি করে ওএনজিসি ও ওভিএল। গ্যাস ব্লকের ৯০ ভাগের অংশীদার ভারতীয় ঐ দুই কোম্পানি। আর বাকী ১০ ভাগের অংশীদার বাপেক্স।
চুক্তি অনুযায়ী, অংশীদার হলেও বাপেক্সের এখানে প্রাথমিকভাবে কোন খরচ হয়নি। যদি গ্যাস পাওয়া যেত তবে বাপেক্স তার অংশের গ্যাস বিক্রি করে খরচের অর্থ দিত। আর গ্যাস পাওয়া যায়নি বলে এই অর্থ দেয়া লাগবে না। ভারতীয় কোম্পানি নিজস্ব খরচে জরিপ এবং খনন করেছে। ভবিষ্যতে গ্যাস বা তেল পেলে তা বিক্রির টাকা থেকে তারা প্রতিবছর তাদের খরচের ৫৫ শতাংশ নিয়ে নেবে।
অগভীর সমুদ্রের ১৬ নম্বর বøকের সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রটি ২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সমুদ্র সীমানির্ধারণের পর সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ২৬টি ব্লকে ভাগকরা হয়। এরমধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীরে ১১টি। আর স্থলভাগে আগে থেকেই ২২টি ব্লকে ভাগ করাছিল।