সাগরে জরিপ করতে পাঁচ দরপ্রস্তাব জমা
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দ্বিমাত্রিক জরিপে যথাযথ সাড়া মেলেনি। পেট্রোবাংলা দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করার পরও দরপ্রস্তাব জমা পড়েছে মাত্র ৫টি। প্রথমবারও ৫টি প্রস্তাব জমা পড়েছিল।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, সবমিলিয়ে ১২টি দরপত্র বিক্রি হয়। কিন্তু জমা পড়েছে মাত্র ৫টি।
রোববার দরপ্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। রোববার কাওরানবাজারে অবস্থিত পেট্রোসেন্টারে ঐ পাঁচটি কোম্পানি তাদের প্রস্তাব জমা দেয়। পরে সকল দরপ্রস্তাব খোলা হয়।
নরওয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি টিজিএস স্লামবার্জার যৌথভাবে, চীনা কোম্পানি বিজিবি, রাশিয়ার কোম্পানি এমজিই, রাশিয়ার কোম্পানি ডিএমএনজি, যুক্তরাজ্যের কোম্পানি স্পেক পার্টনার্স দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে। এরমধ্যে অনেকে এককভাবে আবার অনেকে যৌথভাবে কাজ করার আগহ দেখিয়েছে।
গতবছরের ৩০ মার্চ প্রথমবার দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল ৫টি কোম্পানি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সাগরে দরপত্র আহ্বান করতে অনেক তথ্যের প্রয়োজন হয়। পেট্রোবাংলার কাছে সেই তথ্য নেই। এসব তথ্য সংগ্রহ করতে সাগরে জরিপ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্যগুলো থাকলে সাগরে অনুসল্পব্দানে অনেকে আগ্রহী হবে।
একমাসের মধ্যে মূল্যায়ন করে নির্বাচিত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার কথা। বিদেশি যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হবে তারাই এই তথ্যের মূল মালিক থাকবে। বাংলাদেশের এই তথ্য বিক্রির কোনো অধিকার থাকবে না। তবে বাংলাদেশ সকল তথ্য জানবে। বাংলাদেশ এই জরিপে কোনো বিনিয়োগও করবে না। সম্পূর্ণ নিজস্ব বিনিয়োগে তথ্য সংগ্রহ করবে তারা। বিদেশি কোম্পানির যে খরচ হবে তা তথ্য বিক্রি করে আয় করবে। খরচ উঠে আসার পরে পেট্রোবাংলা লাভের একটি অংশ পাবে।
সাগরে তেল-গ্যাসের তথ্য জানতে পানির ২০ মিটার থেকে আড়াই হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত এই জরিপ করা হবে। ১০ বছরের জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হবে। এরমধ্যে প্রথম দুই বছরে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
পেট্রোবাংলার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচিত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরে জরিপ শেষ করতে ২০ মাস লাগবে। এরপর সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় শুধু দ্বিমাত্রিক জরিপ করা হবে।