সার্কদেশগুলো জ্বালানি লেনদেনে সম্মত

সার্ক দেশগুলো একে অন্যের প্রয়োজনে জ্বালানি লেনদেন করতে সম্মত হয়েছে। এই অঞ্চলের জ্বালানি ঘাটতি পূরণে ভবিষ্যতে সম্বিলিতভাবে কাজ করা হবে। দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে।
শুক্রবার ভারতের রাজধানি নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত সার্ক জ্বালানী মন্ত্রীদের ৫ম সভায় এই ঐক্যমত হয়। সভায় সার্ক দেশের মধ্যে জ্বালানি লেনদেন করতে একটি খসড়া কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৭ নভেম্বর নেপালে অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম সার্কশীর্ষ সম্মেলনে এই খসড়া চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সার্ক রাষ্ট্র নায়করা স্বাক্ষর করলে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে।
বৈঠক থেকে ফিরে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একথা জানান।
বৈঠকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন পর্যালোচনা, সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর এনার্জি কো-অপারেশন (ইলেকট্রিসিটি) এর খসড়া চূড়ান্ত করা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে কিছু ধারণাপত্র প্রস্তুত ও পর্যালোচনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ, সার্ক জ্বালানি কেন্দ্রের কার্যক্রম, ৬ষ্ঠ সার্ক জ্বালানি মন্ত্রীদের বৈঠক, বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সহযোগীতার উপর বাংলাদেশ সব সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে আগ্রহী। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ পেতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ভারত থেকে ইতোমধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। অচিরেই আরও ৬০০ মেগাওয়াট পাওয়া যাবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
ভারতের বিদ্যুৎ, কয়লা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী পীযুষ গয়াল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য সার্ক জ্বালানি মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।