সিএনজি ও পেট্রলপাম্পের ধর্মঘট প্রত্যাহার

সিএনজি ও পেট্রলপাম্প মালিকদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে দুটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে ৩০ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে সিএনজি ও পেট্রলপাম্প স্টেশন  মালিকরা। জ্বালানি বিভাগ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শনিবার বিকেলে বিআরটিএ সদর দপ্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সড়ক পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের বাংলাদেশ পেট্টোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক এসোসিয়েশন এবং সিএনজি মালিক এসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সিএনজি ও পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে। সরকার চায় না তারা ভোগান্তিতে পড়ুক। তিনি বলেন, সিএনজি ও পেট্রলপাম্প মালিকরা অনেক দাবি করেছেন। সব দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগ দাবিই বাস্তবায়নযোগ্য। তাই কমিটি করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ঠিক করবে কিভাবে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্র্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে দুই মন্ত্রণালয়ের সম্মতি প্রয়োজন হবে। তাই জ্বালানি বিভাগ থেকে একটি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আরো একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ কারণেই আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।
দাবিগুলোর বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, বার বার সিএনজির দাম বাড়ানোর ফলে এমনিতেই ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে গেছে। আবার দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে চলছে পরিবেশবান্ধব সিএনজির ব্যয় বাড়ানোর নোটিশ। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই সড়ক ও জনপদ অধিদফতর স্টেশনের জমির মাশুল ২২ গুণ বাড়িয়েছে। এই অযৌক্তিক মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
১৯ অক্টোবর তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ১২ দফা দাবিতে ৩০ অক্টোবর থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আর ২৬ অক্টোবর ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিএনজি অ্যাসোসিয়েশন।