সিএনজির বিকল্প হিসেবে ‘অটোগ্যাস’ চালু করেছে সরকার

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার সিএনজির বিকল্প হিসেবে ‘অটোগ্যাস’ চালুসহ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে তথা প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যানবাহনে প্রচলিত জ্বালানির (সিএনজি, পেট্রোল ও ডিজেল) পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটোগ্যাস) ব্যবহারের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও এ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য ‘তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও রূপান্তর ওয়ার্কশপ স্থাপন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৬ প্রণয়ন করেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, এছাড়া এলপি গ্যাস আমদানি, উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, টার্মিনাল স্থাপন, স্বয়ংক্রিয় যানে জ্বালানি (অটোগ্যাস) হিসেবে এলপি গ্যাস বিতরণ স্টেশন (রিফুয়েলিং স্টেশন) স্থাপন, স্বয়ংক্রিয় যানের যানের ইঞ্জিনকে এলপি গ্যাস দ্বারা চালানোর জন্য রূপান্তর কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এলপি গ্যাস বিতরণ ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘এলপি গ্যাস অপারেশনাল লাইসেন্সিং নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশী প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিদেশের ন্যায় দেশেও এলপিজি’কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে অটোগ্যাস সার্ভিস স্টেশন ও ওয়ার্কশপ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এ জ্বালানি বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকায় এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশেও এ জ্বালানি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার বর্তমানে ৪টি প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন, বেক্সিমকো, ওমেরা ও বসুন্ধরাকে অটোগ্যাস সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেছে। বেসরকারি আরও অনেক উদ্যোক্তা এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দুটি অটোগ্যাস সার্ভিস স্টেশনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে অটোগ্যাস’র কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা যাবে ।