সিঙ্গাপুর পুজিঁবাজারে বিদ্যুৎখাতের বণ্ড ছাড়া হবে

সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজারে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত। আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার থেকে অর্থ এনে বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ করা হবে। এভাবে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হবে।
বোরবার বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্তি’ বিষয়ক এক সেমিনারে একথা জানানো হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ এনার্জি এণ্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিল ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

singapur share
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজার হবে বাংলাদেশের জন্য বিকল্প একটি উৎস। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে যে অর্থ প্রয়োজন তা ঋণ নেয়া বা সরকারের পক্ষ থেকে পুরো মেটানো সম্ভব নয়। এজন্য সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজারে যাওয়া হচ্ছে।
আপাতত নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানিকে সিঙ্গাপুর পূঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সঞ্চালনসহ অন্য কোম্পানিকেও সিঙ্গাপুর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ খাতে আট বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। ১০ বিলিয়ন ডলারের কাজ চলছে। এক প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অর্থ আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে। আর এই অর্থ কাজে লাগাতে গেলে নিজেদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।  তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের কাছাকাছি বলে এই পুুঁজি বাজারে যাওয়া হচ্ছে। ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি বণ্ড’ নামে এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, আগামী ২০২১ নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে ২৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। আর ২০৪০ নাগাদ প্রয়োজন হবে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ যোগান দিতে সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজারে যেতে হবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতকে সিঙ্গাপুর পুঁজি বাজারে নিয়ে যেতে ‘ড্রিউ এণ্ড নেপিয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর পুজিঁবাজারে তালিকাভুক্ত করতে যে অর্থের প্রয়োজন হবে তাও বাংলাদেশের পুজি বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে। সিঙ্গাপুর পুজিঁবাজারে তালিকাভুক্ত করতে ২৫ হাজার ডলার প্রয়োজন হবে।
সংশিèষ্ঠরা জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার বা ২৫ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বন্ড ইস্যু মাধ্যমে এ অর্থ তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এজন্য আইনী বিষয়াদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের সিদ্ধান্তটি প্রাথমিক। এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। প্রথমবার অন্তত ২ বিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যু করা হবে।