সৌরবিদ্যুৎ : দুই হাজার মেগাওয়াটে সাশ্রয় ১১ হাজার কোটি টাকা
শিল্প-কারখানা ও ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশকে যথষ্টে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে
দুই হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা হলে বছরে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১১ হাজার ৩২ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানাইসিসের (আইইইএফএ) গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে অর্থনৈতিক সুবিধা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
চলতি বছরের ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত দেশে নেট-মিটারিংয়ের আওতায় ও এর বাইরে ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুতের সক্ষমতা আছে ১৬০.৬৩ মেগাওয়াট। ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ এখন প্রতি ইউনিটে ৫ টাকার মতো। অন্যদিকে শিল্প-কারখানা প্রতি ইউনিট গ্রিডের বিদ্যুতের জন্য ৯.৯০ টাকা এবং বাণিজ্যিক ভবন গ্রিডের বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট জন্য ১০.৫৫ টাকা ব্যয় করছেন।
ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে দিনের বেলা গ্রিড বিদ্যুতের তুলনায় অর্ধেক কম দামে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব।
প্রতিবেদনে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, এই খাতে প্রণোদনা দিতে যেন আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। প্রতিবেদনে আরো সুপারিশ করা হয়, একটি নির্দষ্টি ভবনের ছাদে তার অনুমোদিত লোডের (ওয়াট/কিলোওয়াট/মেগাওয়াট) সমপরিমাণ সক্ষমতার সৌরবিদ্যুতের প্যানেল স্থাপনে যেন অনুমতি প্রদান করা হয়।