রামপাল বন্ধে চরমপত্র
আগামী ১৫ মের মধ্যে রামপাল-ওরিয়নসহ সুন্দরবনের পাশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
রোববার সুন্দরবন রক্ষায় জনযাত্রার শেষ দিন কাটাখালিতে জাতীয় কমিটি একটি ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করে। ঘোষণাপত্রে এই সময় বেধে দেয়া হয়।
এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে আন্দোলনে যাবে তারা।
ঘোষনাপত্রে বলা হয়, সরকার যদি এই সময়ের মধ্যে বাতিল করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ঢাকামুখি লংমার্চ, অবস্থান কর্মসূচী, ঘেরাও, হরতাল, অবরোধসহ আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সুন্দরবন শুধু কিছু গাছ আর কিছু পশু-পাখি নয়। সুন্দরবন অসংখ্য প্রাণের সমষ্টি এক মহাপ্রাণ। অসাধারণ জীববৈচিত্রের আধার হিসেবে অতুলনীয় ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম, বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। এই সুন্দরবন শুধু লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার সংস্থান করেনা, সিডর-আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় চারকোটি মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। দেশের সীমানায় এবং সীমানার বাইরে বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল কার্যত সুন্দরবনের সাথে সম্পর্কিত।
রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে জাতীয় কমিটির সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে এই জনযাত্রা কর্মসুচি পালন হয়।
গত ১০ মার্চ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কালিগঞ্জ, যশোর, নওয়াপাড়া, ফুলতলা, দৌলতপুর, খুলনা, বাগেরহাট হয়ে ১৩ মার্চ দুপুরে সুন্দরবনের পাশে কাটাখালীতে গিয়ে জনযাত্রা শেষ হয়।