২০১৬ সাল হবে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি মুক্ত বছর
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০১৬ সাল হবে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি মুক্ত বছর। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে ১০ শতাংশ দুর্নীতি কমালে বছরে অনেক সাশ্রয় হবে। সিস্টেম লস ১২ শতাংশ থেকে মাত্র দুই শতাংশ কমালে বছরে ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহাব্যবস্থাপক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ও বাপবিবোর্ডের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরইবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেশের ৭৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক ও পবিস সমিতি বোর্ডের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে ঠিকভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি কমানো সম্ভব। বিদ্যুৎ খাতে উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। এতে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী ব্যাপকভাবে কমবে। ঠিকাদারদের দুর্নীতি বন্ধে আরও সতর্ক হতে হবে। দুর্নীতি কমলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। প্রিপেউড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব। মিটার নেই বলে অনেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। পর্যাপ্ত মিটার কেনার জন্য অর্থের কোন সঙ্কট নেই। প্রি-পেইড মিটার দ্রুত স্থাপনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনলে লোড ম্যানেজমেন্টসহ বিদ্যুৎ বিল আদায় সহজ হবে। সিস্টেম লস কেন হয় তা চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের যেসব পরিকল্পনা আছে তা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
তিনি বলেন, লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এজন্য লোড ব্যবস্থাপনায় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কাজের মান বাড়াতে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আরও যত্নবান হওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে আসবে। এজন্য লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। বাড়ির উপর দিয়ে লাইন নির্মাণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের তিনি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সরকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরও দেশের মানুষের যেন কষ্ট না পায়, সে দিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা হচ্ছে। বাপবিবো প্রতিমাসে লাখ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।