২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বে জীবাশ্ম ও পরমাণুর সমান হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ
আইইএ’র প্রতিবেদন
ইবি ডেস্ক:
দাম বেশি হওয়ার পরও চাহিদা বাড়ছে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের। ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বে যে পরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়বে, তা বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি ও পরমাণু জ্বালানি থেকে উৎপাদিত সম্মিলিত বিদ্যুতের সমান হবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে এখন যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হচ্ছে তার বেশিরভাগই নবায়নযোগ্য। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে পরিমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে তার প্রায় ৯৫ শতাংশই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর। এর অর্ধেকের বেশি হবে সৌর বিদ্যুৎ।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারগুলো আরও বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন করছে ও নীতি গ্রহণ করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌর প্যানেল, বায়ু বিদ্যুতের সরঞ্জামের দাম বাড়লেও এই লক্ষপূরণ হবে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা এ বছরও টানা দ্বিতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়বে। আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, এ বছর বিদ্যুৎ সক্ষমতায় যোগ হয়েছে রেকর্ড ২৯০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যা প্রমাণ করছে বিশ্বে নতুন জ্বালানি অর্থনীতি গড়ে উঠছে।
তিনি বলেন, ‘পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জ্বালানির উচ্চমূল্য নবায়নযোগ্য খাতের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানির দাম ব্যাপক বাড়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।