২৬ মার্চ ত্রিপুরার বিদ্যুৎ আসতে পারে
আগামী ২৬শে মার্চ ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা শুরু হতে পারে। এছাড়া আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে আনার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ত্রিপুরার বিদ্যুতের দাম মšúনালয় থেকে নির্ধারণ করা হলেও এখনও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন নেয়া হয়নি। যে দাম নির্ধারন করা হয়েছে তা আইন মন্ত্রনালয়ে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হবে। আইন মন্ত্রনালয়ের পর্যালোচনা শেষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রি পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ক্রয় কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর ভারতের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করা হবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন এ বিষয়ে বলেন, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগির বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করা হবে। ক্রয় চুক্তি করার আগে যে আনুষ্ঠানিকতা তা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন মন্ত্রনালয়ের অনুমাদন শেষে ক্রয় কমিটিতে পাঠানো হবে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ১৬ ডিসেম্বর আনার কথা ছিল। কিন্তু দাম ঠিক হয়নি বলে তা আনা যায়নি। গত ৯ জানুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীসহ বিদ্যুৎ মন্ত্রণানালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা এসে এর দাম চূড়ান্ত করে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ আনা নেয়ার সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দু দেশেরই মতৈক্যের পর নতুন করে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তি এখনও হয়নি। চুক্তির কাগজপত্র তৈরী হচ্ছে। তবে চুক্তির সকল বিষয় ইতিমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হবে।
জানা যায়, এদিকে ত্রিপুরা থেকে নতুন করে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনতে প্রস্তাব পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভারতের ত্রিপুরার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৫ রূপি ৫০ পয়সা (৬ টাকা ৪৩ পয়সা)। ভারত অংশের সঞ্চালন খরচ সহ এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অংশে পিজিসিবিকে সঞ্চালন খরচ দিতে হবে।
ত্রিপুরা থেকে যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া। অর্থাৎ বাংলাদেশ যখন বিদ্যুৎ আমদানি করবে তখনই বিল দেবে, না আনলে কোনও বিল দেয়া লাগবে না।
বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নেয়া ২৫০ মেগাওয়াটের দাম প্রতি ইউনিট দুই রূপি ৪৬ পয়সা। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারিভাবে নেয়া হচ্ছে, যার দাম প্রতি ইউনিট পাঁচ রূপি ৪৬ পয়সা।