’৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়াতে বিদ্যুৎ খাতে ৮২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এরমধ্যে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের হার্ভার্ড লয়েব হাউজে অনুষ্ঠিত ‌’বাংলাদেশ রাইজিং’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ফ্লোরিডার ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (আইএসডিআই), হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং হার্ভার্ড লক্ষী মিত্তাল সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামালুদ্দিন আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশে হতে প্রয়োজন ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। একই সাথে বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠিত প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। দপ্তরগুলো সয়ংক্রিয় করার কাজ এগিয়ে চলছে। ইআরপি ও স্ক্যাডা সিস্টেম প্রচলন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ বেসরকারি খাত থেকে উৎপাদন হচ্ছে। সঞ্চালন ব্যবস্থার কিছু অংশ বেসরকারি খাতে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরবর্তী দশকে বিতরণ ব্যবস্থাও বেসরকারি খাতে দেয়ার কথা ভাবা হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে মিশ্র জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ৩৫ ভাগ, কয়লা ৩৫ ভাগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানি ১০ ভাগ, পরমাণু ও নবায়নযোগ্যসহ অন্যান্য ২০ভাগ ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আরো জনবান্ধব করতে অর্থায়ন, প্রযুক্তি গ্রহণ, বিচক্ষণ পরিকল্পনা ও কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
সম্মেলনের অধিবেশনগুলোতে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি ও সংস্কার, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সম্ভাবনা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গতিশীলতা আনা, বাণিজ্যে নারীর নেতৃত্ব, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার নিয়ে আলোচনা করা হয়।