হাঙ্গেরির ‘নিউক্লিয়ার কিডস’ এ বাংলাদেশ
রাশিয়ার রসাটম রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশনের আয়োজনে হাঙ্গেরীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে “নিউক্লিয়ার কিডস”। শিশুদের জন্য মিউজিক এবং পরমাণু শক্তির এক অনন্য সমন্বয় এই আন্তর্জাতিক সৃজনশীল প্রকল্প। বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে মোট ৫ জন শিক্ষার্থী মিউজিক এক্সট্রাভ্যাগান্জাতে অংশ নিচ্ছে। ঢাকার দুটি স্কুল থেকে সুহাইব হোসেন এবং কায়সান ফারাজ বর্তমানে হাঙ্গেরীতে অবস্থান করছে। ২৩টি দেশ থেকে ৭৯ জন শিশু-কিশোর ১০ম বারের মতো অনুষ্ঠিত এবারে নিউক্লিয়ার কিডস প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে।
এ বছরের “লামানোসভের স্ক্রল” শীর্ষক মিউজিক্যাল পারফর্মেন্সে অংশ নিচ্ছেন বিখ্যাত রুশ মিউজিসিয়ান ও পরিচালকরা। হাঙ্গেরী, ইক্যাথেরিনবুর্গ এবং মস্কোতে অনুষ্ঠিতব্য পারফর্মেন্স নিয়ে একটি চলচিত্র নির্মান করা হবে।
রসাটম দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেই শেভলিয়াকভ বলেন, ‘নাচে এবং গানে বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা প্রাকৃতিকভাবেই প্রতিভাবান। এবছর নিউকিডস প্রোগ্রামের ১০ম বার্ষিকী উদযাপন করছি।
বাংলাদেশ, বেলারাশিয়া, চীন, ক্রোয়েশিয়া, মিশর, হাঙ্গেরী, ভারত, কাজাখস্তান, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের শিশু-কিশোররা ইতোমধ্যে রিহার্সাল শুরু করেছে। মিউজিক্যাল শো’র প্রিমিয়ার আগামী ৪ঠ্ আগষ্ট হাঙ্গেরীর জেকসযার্ড শহরে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীকালে রাশিয়ার মস্কোসহ অন্যান্য শহরে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য শো’র আয়োজন করা হবে।
রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ- এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজের দক্ষিণ এশিয়ার প্রকল্পসমূহের ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই লেবেদেভ এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে সারা বিশ্বে পরমাণু শিল্পে কর্মরত এমপ্লয়িদের সন্তানদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ করা, তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহ প্রদান এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ করে দেয়া।”
এ বছরের মিউজিক্যাল পারফর্মেন্সটি উৎসর্গ করা হচ্ছে অষ্টাদশ শতাব্দিতে রাশিয়ার স্বনামধন্য বিজ্ঞানী নিখাইল লামানোসভকে। তিনি রাশিয়ার আধুনিক সাহিত্যের ভাষা সৃষ্টিকে প্রভাবিত করেছিলেন। তার উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় রাশিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যা বর্তমানে লামানোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত।