বিবিয়ানা গ্যাস সম্প্রসারণের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ  বিবিয়ানা-ধনুয়া গ্যাস পাইপলাইন উদ্বোধন করেছেন। শনিবার এ প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি আশা করেন, এসব প্রকল্প গ্যাসের দেশীয় চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান কমাবে। খবর বাসস।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন ব্যয়সাপেক্ষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের জ্বালানী নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় জাতীয় এসব সম্পদের পরিমিত ব্যবহার করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উৎপাদন খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। বিশেষ করে গ্যাস। ভবিষ্যতের জ্বালানী নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জাতীয় এসব সম্পদের পরিমিত ব্যবহার করতে হবে।
এসব প্রকল্প দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নে পেট্রোবাংলা, জিটিসিএল ও শ্যাভরনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, ভবিষ্যতে শেভরনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানীগুলো বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের সুযোগ গ্রহণে এগিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী চৌধুরী বীর বিক্রম, জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মুনিম চৌধুরী, জ্বালানী সচিব আবু বকর সিদ্দিক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ, শেভরনের এশিয়ার প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট মেলোদি মেয়ের এবং শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়ফ স্ট্রং বক্তৃতা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাপেক্সকে পুনরায় জোরদার করার মধ্যদিয়ে সরকার শক্তিশালী জ্বালানী খাত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বিদেশী বিনিয়োগ আনার পাশাপাশি আমাদেরকে বাপেক্সকেও শক্তিশালী করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানির প্রধান উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী। কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম শক্তিশালী উপাদান গ্যাস। দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যিক জ্বালানীর ৭৩ শতাংশ আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। এর ফলে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দূরদৃষ্টিসম্পন্ন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সে সবের ওপর ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিকল্পিত অনুসন্ধান ও আহরণ এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।
তিনি আরো বলেন, ২০০৯ সালে তার আগের মেয়াদের সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।