সিএনজিতে দিনে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সিএনজি খাতে প্রতিদিন প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। বিক্রি কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন ‌‌‍‌অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার অবসান চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে  এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাসুদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নজিব আহমেদ, আখতার হোসেন ফয়সাল, সদস্য নজরুল ইসলাম, ফারহান নুর, আলমগীর খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অবরোধের কারনে গত এক মাসে সিএনজিখাতে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়।
এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়। দাবীগুলো হচ্ছে-ব্যাংক ঋণের সুদ মাফ, গ্যাসের খেলাপী বিলের সুদ বাতিল করা ও কিস্তিতে বিল পরিশোধের সুযোগ দেয়া, সিএনজি ষ্টেশনে পর্যাপÍ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানান।
মাসুদ খান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সিএনজি ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। আলোচনার মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে। অর্থনীতি না থাকলে দেশ থাকবে না, আর দেশ না থাকলে রাজনীতি থাকবে না। তাই অর্থনীতি ও দেশ বাঁচাতে সুস্থ পরিবেশ দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়লে পরিবহণ খরচসহ যাবতীয় খরচ বাড়বে। মোট গ্যাসের মাত্র পাঁচ শতাংশ সিএনজিতে ব্যবহার হয়। ব্যবহার কম হলেও সরকারকে সর্বোচ্চ রাজস্ব দেয় এই খাত।