অবশেষে আসছে এলএনজি
অবশেষে আমদানি শুরু হচ্ছে গ্যাস, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথম এই গ্যাস নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারের মহেশখালি আসবে।
সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, প্রক্রিয়া শেষে ১০ অথবা ১২ই মে পাইপে করে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
গ্যাস ঠাণ্ডা করে তরল করা হবে। তরল করে জাহাজে করে আনা হবে। পরে তা আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে পাইপে করে সরবরাহ করা হবে। এই প্রক্রিয়া মহেশখালির ভাসমান টার্মিনালেই করা হবে।
এই গ্যাস সরবরাহ করার জন্য পাইপের পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছ।
দীর্ঘ পথ শেষে বাংলাদেশ এই উচ্চমূল্যের জ্বালানি ব্যবহার করতে যাচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ জানিয়েছেন, মহেশখালি ভাসমান টার্মিনালে তরল প্রকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাহী জাহাজ আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা আছে। প্রক্রিয়া শেষে তা সরবরাহ করতে ১০/১৫ দিন লাগবে। এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে
প্রথমেই এই পরিমাণে গ্যাস পাইপে দেয়া হবে না। ধীরে ধীরে গ্যাসের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
কাতার থেকে এই গ্যাস আনা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এক জাহাজের মজুদ শেষ হওয়ার আগেই অন্য জাহাজ চলে আসবে। এভাবে প্রতিনিয়ত গ্যাস আসতেই থাকবে।
মহেশখালী থেকে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আসবে। সেখান থেকে উপকেন্দ্রের মাধ্যমে গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে সরবরাহ করা হবে নগরীতে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগরে এই গ্যাস দেবে।