নাইকো বাংলাদেশের কোন সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না

নাইকো তাদের বাংলাদেশের কোন স¤ক্সত্তি বিত্রিক্র করতে পারবে না। নাইকোর করা দুটো মামলাই খারিজ করে দিয়েছে আšর্øজাতিক আদালত। অর্থ আদায় ও স¤ক্সত্তি হস্টøাšøর বিষয়ে নাইকোর করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে আšøর্জাতিক সালিশ আদালত। এরমাধ্যমে আšøর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের আরো একটি মামলার জয় হলো।
মামলার রায় অনুযায়ি, কানাডিয়ান কো¤ক্সানি নাইকো বাংলাদেশের কোন স¤ক্সত্তি বিত্রিক্র বা হস্টøাšøর করতে পারবে না। সরাসরি বা পরোক্ষ কোনভাবেই তাদের কোন স্ট^ার্থ সংশিèষ্ঠ স¤ক্সত্তি হস্টøাšøর করতে পারবে না। হস্টøাšøর করতে হলে সরকার ও পেট্রোবাংলা উভয়েরই অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া ফেনী গ্যাসক্ষেত্রর গ্যাসের দামের জন্য নাইকো পেট্রোবাংলার কাছে যে ২৭ মিলিয়ন ডলার বা ২১৬ কোটি টাকা পাবে তা এখনই দেয়া লাগবে না। নাইকোর সাথে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রর ক্ষতিপহৃরণ মামলার রায়ের সময় এই পাওনার বিষয়টি সমাধান করা হবে। এবছর ডিসেল্ফ^র মাসে নাইকোর ক্ষতিপহৃরণ মামলার রায় হতে পারে বলে জানাগেছে।
রোববার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অফ ইনভেসমেন্ট ডিসপুট (ইকসিড) নাইকোর করা মামলায় এই রায় দিয়েছে। সোমবার পেট্রোবাংলা ইমেইলে রায়ের বিস্টøারিত পাঠিয়েছে বলে জানাগেছে।
পেট্রোবাংলার সচিব ইমাম হোসেন বলেন, এ রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। নাইকোকে নিয়ে আরো একটি রায় বাকী আছে সেটিও আমাদের পক্ষে আসবে আশা করি।
২০০৫ সালে পর পর দুবার আগুন লাগে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে। আগুন লাগার জন্য ঐ ক্ষেত্র উন্নয়নকারী কো¤ক্সানি নাইকোকে দায়ি করা হয়। ক্ষতিপুরণ আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার তাদের ফেণী গ্যাসক্ষেত্রর গ্যাসের দাম শোধ করা বল্পব্দ করে দেয়। এছাড়া বাংলাদেশের কোর্টও তাদের ব্যাংক হিসাব জ¦ন্ধ করে।
নাইকো দুটি বিষয়ে মামলা করেছিল। নাইকোকে ফেনী গ্যাসক্ষেত্রর গ্যাসের দাম বাবদ ১২ শতাংশ সুুদসহ ১২৭ দশমিক ৩১৭ মিলিয়ন ডলার পাওনা দিয়ে দিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের স¤ক্সত্তি ব্যবহারের অনুমোতি দিতে হবে এবং টেংরাটিলা ক্ষেত্রর ক্ষতিপূরণ দেয়া লাগবে কিনা তা জানতে চাই আদালতে।
কিন্তু কোর্ট নাইকোর দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে। কোর্ট বলেছে, আপাতত ফেনী গ্যাসক্ষেত্রর জন্য পাওনা টাকা পেট্রোবাংলাকে দেয়া লাগবে না। ক্ষতিপহৃরণ মামলার রায় না হওয়া পর্যšø এই টাকা শোধ করা লাগবে না। এছাড়া বাংলাদেশে নাইকোর যত স¤ক্সত্তি আছে তার কোন কিছুই পেট্রোবাংলা এবং সরকারে অনুমোতি ছাড়া সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হস্টøাšøর বা বিত্রিক্র করতে পারবে না। ২০১০ সালের মে মাসে এবং জুলাই মাসে পর পর দুটি মামলা করে নাইকো।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সোমবার বলেন, এই রায়রে ফলে নাইকোর কাছ থেেক ক্ষতপিুরণ আদায়ে আর কোন বাঁধা থাকলো না। ক্ষতিপূরনের মামলা নি®ক্সত্তি না হওয়া পর্যšø নাইকো দেশের কোন স¤ক্সত্তি বিত্রিক্র করতে পারবে না। আর বিত্রিক্র করতে চাইলে তাদের বাংলাদেশ সরকারের লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রের পাওনা চেয়ে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
স¤ক্স্রতি বাঙ্গুরা গ্যাস ক্ষেত্রর অংশ বিত্রিক্র করে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল নাইকো। তবে পেট্রোবাংলা নাইকো ওই অংশ বিত্রিক্র করতে দেয়নি। উৎপাদন বন্টন চুক্তি অনুযায়ি যে কোন কো¤ক্সানি তাদের অংশ অন্যকারো কাছে বিত্রিক্র করতে পারে। শুধু পেট্রোবাংলার অনুমোদন নিতে হয়। কিস্ট‘ নাইকোর সাথে অমিমাংসিত বিষয় থাকায় সে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
২০০৩ সালে নাইকো বাপেক্সকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী এবং ছাতক ক্ষেত্র উন্নয়নের দায়িত্ব পায়। দুই ক্ষেত্রে নাইকো ৮০ শতাংশ এবং বাকি ২০ শতাংশের মালিকানা ছিল বাপেক্সের। ফেনীতে সফলভাবে গ্যাস উৎপাদন শুরু হলেও ছাতকে বি®েম্ফারণ ঘটে। অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে ছাতকের টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্রে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ গ্যাস পুড়ে যায়। পরিবেশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের স¤ক্সদের ক্ষতি হয়।
২০০৮ সালের ১৫ জুন বাংলাদেশের আদালতে মামলা দায়ের করে পেট্রোবাংলা এবং বাংলাদেশ সরকার। মামলায় গ্যাস এবং স্থানীয়দের স¤ক্সদ ধ্বংস হওয়ায় ৭৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৩ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
সহৃত্র জানায়, ঢাকার আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকেই নাইকো বার বার শুনানিতে সময় চেয়ে তা পিছিয়েছে। এখন মামলাটি ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ-২ এর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটি ২০০৮ সালের ১৫ জুন দায়েরের পর প্রায় ৪ বছর পর ২০১২ এর ৯ সেপ্টেল্টল্ফ^র মামলাটির এক তরফা শুনানির জন্য এ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করে। কমিশনারের কাছে ১১জন সাক্ষী দেয়। এ্যাডভোকেট কমিশনার তাঁর প্রতিবেদন ২০১৩ এর ১৫ সেপ্টেল্টল্ফ^র আদালতে দাখিল করে। এর ঠিক ১০ দিন পর নাইকো আšøর্জাতিক সালিশী আদালতে (একসিড) এ সংাত্রক্রাšø মামলার দোহায় দিয়ে মামলাটির কার্যত্রক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করে।
সহৃত্র জানায়, সবশেষ পেট্রোবাংলা দেওয়ানী কার্যবিধির অর্ডার-৩৮ এবং রুল-৫ অনুযায়ী ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাসের মহৃল্য বাবদ ২৭ দশমিক ৩১৭ মিলিয়ন ডলার এবং নাইকোর বর্তমান এবং ভবিষ্যত স¤ক্সদের মধ্যে নয় নল্ফ^রর ¦èকে স্ট^Í^গুলো কেন ত্রেক্রাক করা হবে না এই মর্মে আদালতের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। তবে দেশের আদালতে মামলা পরিচালনায় সরকার পক্ষের গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ১৭ নবেম্বর আদালতে এ সংত্রক্রাšø আবেদনের পর আইনজীবী নিয়োগ দিতেই দীর্ঘ সময় নেয় রা¯দ্ব্রপক্ষ।