বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির চালানে মদ-বিয়ার, যাচাইয়ে কমিটি

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্রপাতি ঘোষণায় আনা পণ্যের কার্টনে মদ, বিয়ার, মাশরুম ও নুডলস পাওয়ায় চালানটি জব্দ করেছে কাস্টমস।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘যন্ত্রপাতি’ ঘোষণায় এসব চালান এনেছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে মঙ্গলবার এসব পণ্য খালাসের সময় আটকের পর এ বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ফখরুল আলম বলেন, “পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এসব চালান আমদানি করেছে।

“মোট আটটি চালানে ৬৬৯টি কার্টনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিনটি কার্টন খুলে মদ, বিয়ার, নুডুলস ও মাশরুম পাওয়া গেছে। এতে কিছু মেশিনারিজও আছে। সব কার্টন বন্দরের শেডে নিয়ে আসা হবে।”
ফখরুল আলম বলেন, “শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমদানিকারক যে নথিপত্র দেয় সে চাহিদা অনুসারেই পণ্য আনা হয়। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে।”

কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, “মঙ্গলবার প্রাথমিকভাবে ১৮টি কার্টনে মদ, বিয়ার ও খাদ্যপণ্য পাওয়া গেছে। পুরো চালানের পণ্য ইয়ার্ডে আনবে বন্দর। তারা সব পণ্য আনার পর আমরা যাচাই শুরু করব। যাচাইয়ের জন্য ১৬ সদস্যের একটি দল করা হয়েছে।”

পানামার পতাকাবাহী এমভি কিজিয়া শান জাহাজে করে চীন থেকে আনা এসব পণ্য জাহাজটি থেকে খালাস করে বার্জে তোলার সময় মঙ্গলবার আটক করা হয়।
এর আগে দুটি বার্জে ওই চালানের পণ্য নামানো হয়। ওই দুটি বার্জ জব্দ করা হয়েছে। তৃতীয় বার্জে পণ্য নামানো স্থগিত করা হয়।

এই পণ্য খালাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স বিপাশা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শফিকুল আলম জুয়েল।

যে তিনটি বার্জে এসব পণ্য বোঝাই করা হয় সেগুলোও শফিকুল আলম জুয়েলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এএমএমএস লজিস্টিকসের। প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি পরিবহনের দায়িত্বে নিয়োজিত।

বিপাশা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শফিকুল আলম জুয়েল বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমদানিকারক চালানের যে তালিকা দেন সে হিসেবে আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করি।”