জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প যথাসময়ে শেষের তাগিদ

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি) ফান্ডের যে পৃথক নীতিমালা ও আইন রয়েছে তা মেনে কাজ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি নির্দেশনা (জিও) জারির ৩০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর মহাখালী পুরাতন বন ভবনে বিসিসিটি’র সভাকক্ষে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি) ফান্ডের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ১৩৬টি প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দিদারুল আহ্সানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিসিটিটি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেছার রহমান সরকার, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও নেগোসিয়েশন) মাহাবুব হোসেন, পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) আজিজুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইয়ুব আলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও বিসিটিটি’র উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং প্রকল্পগুলোর পরিচালকরা (পিডি) উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাকি কাজ সময় বৃদ্ধির জন্য কোনো আবেদন না করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে প্রকল্পগুলোরর পরিচালকদের নির্দেশ দেন দিদারুল আহসান। প্রকল্পের কাজের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখারও তাগিদ দেন তিনি।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিচালকরা। এ সময় তারা কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বিশেষভাবে বর্ষাকালে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয় বলে জানান তারা। এ ছাড়া চার কিস্তিতে টাকা ছাড় করার যে পদ্ধতি রয়েছে তাতে পরিবর্তন এনে প্রকল্পের শুরুতেই দুই কিস্তিতে দেওয়ার দাবি জানান প্রকল্পের পরিচালকরা।
প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নদী তীর সংরক্ষণ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, খাল পুনঃখনন, বনায়ন, উন্নত চুলা স্থাপন, সোলার সিস্টেম চালু, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, সুপেয় পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ নির্মাণের অংশ হিসেবে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২১৯টি সরকারি প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৯৯৭ কোটি এবং ৬৩টি বেসরকারি প্রকল্পের জন্য পিকেএসএফ’কে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩৪টি প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।