কাপ্তাই এ আরো দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট হবে
কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্পে ১০০ মেগাওয়াটের আরো দুটি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
কাপ্তাই প্রকল্প সূত্র জানায়, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্বল্পতার কারণে বিদ্যুত উৎপাদন কমে গেলেও বর্ষা মৌসুমে কোন কোন সময় পানি ছেড়ে দিতে হয়। এ ছাড়া পানি ধরে রেখে সান্ধ্যকালীন সময়ে বিদ্যুত উৎপাদন করা যেতে পারে। এখন কাপ্তাই প্রকল্পে ৫টি উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। এর বাইরে আরও দুটি ইউনিট বসানো সম্ভব।
পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি ৫০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বসানো সম্ভব। এ বিষয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) একটি প্রস্তাব রয়েছে সরকারের কাছে। জাইকা বলছে, তারা এখানে ৪০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট বসাতে চায়। জাইকাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করবে। তবে উৎপাদিত বিদ্যুতের ২০ ভাগ স্থানীয় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণের শর্ত দিয়েছে তারা। প্রস্তাবটি এখন সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) রয়েছে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্প সূত্র জানায়, জাপানের একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি কাপ্তাই জলবিদ্যুত প্রকল্পে নতুন ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা জরিপ চালিয়েছে। জরিপকারী দল ওই সময় জানিয়েছে পানির মূল আধারের পাশাপাশি ১০০ মিটার উপরে নতুন আধার তৈরি করেও বিদ্যুত উৎপাদন করা যায়। থাইল্যান্ড থেকে এ ধরনের বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র দেখে এসে পাহাড়ী এলাকায় তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছিল বিদ্যুত বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল। জাপানের বিশেষজ্ঞ দলও একই ধরনের বিদ্যুত উৎপাদন কাপ্তাইয়ে সম্ভব বলে জানিয়েছে। কাপ্তাইয়ের পাশেই ১২০ মিটার উচ্চতার জমি রয়েছে। যার তিন দিকই পাহাড় দিয়ে ঘেরা। শুধু একপাশে বাঁধ দিলেই এখানে বিদ্যুত উৎপাদন ইউনিট বসানো যাবে। সাধারণত অফপিক আওয়ারে বিদ্যুত উৎপাদনে পানি তোলা হয় আর পিক আওয়ারে ওই পানি ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়।
জলবিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য নির্মিত ড্যাম বা বাঁধের মধ্যে সর্বনিম্ন ৬৮ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৯ ফুট উচ্চতায় পানি পেলে পাঁচটি ইউনিট চালু রাখা যায়। তবে ৬৮ ফুটের নিচে পানি নেমে গেলে বিদ্যুতকেন্দ্রের কোন ইউনিটই চালু রাখা যায় না। কাপ্তাইয়ের জলবিদ্যুত কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু থাকলে ২৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। এখানের প্রতি ইউনিট বিদ্যুত পাওয়া যায় ২৩ থেকে ৮৫ পয়সায়। ১৯৬২ সালে এ জলবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।