লাভের টাকায় অন্যকে ঋণ, আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
লাভের টাকায় ঋণ দিচ্ছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাব করেছে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। তবে এই ঋণ দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয়নি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বিদেশী কোম্পানি সান্তোষ ও রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সকে জমানো টাকা ঋণ দিয়েছে। এভাবে টাকা খাটাতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এর অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু তারা তা নেয়নি। তাবে পেট্রোবাংলার অনুমতি নিয়েই এই ঋণ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছে। অলস টাকা থাকায় অন্যকে ঋণ দিচ্ছে অথচ নিজের উন্নয়ন কাজের নাম করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এই কোম্পানি।গ্রাহকের কাছে গ্যাস বিক্রি করেই এই আয় বাখরাবাদের।
বুধবার কাওরানবাজারে বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) এই দুই কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের গণশুনানি হয়েছে।
এসময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ভোক্তার যে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে, তা-ই গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে গচ্ছিত রাখা হয়। এ অর্থ ব্যবহারের আগে বিইআরসির অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদন না নিয়ে ব্যয় করলে বিইআরসি আইনের ৪১ ও ৪২ ধারায় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য রহমান মুর্শেদ, মাহমুদউল হক ভূঁইয়া, মো. আবদুল আজিজ খান, মিজানুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল ও বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধি ছাড়াও সাধারণ ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে বলা হয়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ৬০৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। জিটিসিএল এবং বাপেক্সকে শতকরা দুই শতাংশ সুদে এই টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছর বাখরাবার এক হাজার ২০৭ কোটি টাকা বিভিন্নভাবে সরকারকে দিয়েছে। এর মধ্যে লভ্যাংশ ৫৫ কোটি, করপোরেট কর ৫২ কোটি এবং এসডি ভ্যাট এক হাজার ১০০ কোটি টাকা।
পিজিসিএল দৈনিক ১৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিতরণে সক্ষম। কিন্তু বিতরণ করে মাত্র তিন কোটি দুই লাখ ঘনফুট। গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় পুরো অবকাঠামো খরচ হিসাব করে দাম বাড়ানো হয়। এতে গ্রাহককে বেশি দাম দিতে হয়।