নভোথিয়েটারে চলছে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

Int’l Photo Exhibition Begins at Novotheatre

রাশিয়ার ফটোগ্রাফার দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্রে ‘মানুষ, প্রকৃতি, প্রযুক্তি’ শীর্ষক মাসব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, হাঙ্গেরি, মিশর ও বেলারুশের পেশাদার ও সৌখিন আলোকচিত্রীদের ২৪টি অনন্য ছবি এতে স্থান পেয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে রুশ সংস্থা এনার্জি অফ দা ফিউচার।

এ বছর অনুষ্ঠিত এএসই আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী-২০১৯ এ পাঠানো কয়েক শত আলোকচিত্র থেকে একটি আন্তর্জাতিক বিচারক কমিটি শ্রেষ্ঠ ২৪টি আলোকচিত্র পুরষ্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেন। এর মধ্যে ৮টি ছরি ৬জন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী’র। যে সব বাংলাদেশিদের আলোকচিত্র প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়, তারা হলেন- পলাশ শিকদার, মুহাইমেন উর রশীদ, সাইফ সুমন, মির্জা শাকিল, আলামীন লিওন ও মিহির কুমার শীল। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার মির্জা শাকিল তার ‘সেলিব্রেশন অফ লাইফ’ আলোকচিত্রটির জন্য পুরষ্কৃত হন। অন্য তিন জন পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন, বেলারুশের আলে·ি গেরাসিমেনকা, হাঙ্গেরির পিটার কিস এবং ভারতের বিক্রম রেড্ডী। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমস্ট্রয়এ·পোর্ট (এএসই)। উল্লেক্ষ্য, এএসই জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মান করছে।

রুশ পযুক্তি ব্যাবহার করে বিশ্বের যে সকল দেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মান করছে সেই সকল দেশের মানুষের আবেগ- অনুভূতি, বন্য প্রানী, উচ্চ প্রযুক্তিসহ বিশ্বের বৈচিত্রময় সৌন্দর্য্য সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে এই প্রদর্শনীটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নভোথিয়েটারের পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্র এবং বেলারুশের রাজধানী মিন্সকের অনুরূপ একটি তথ্যকেন্দ্রের মধ্যে টেলি-কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। বেলারুশও বাংলাদেশের মতো রুশ সহায়তায় তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করছে। টেলি-কনফারেন্সে উপস্থিত উভয় দেশের আলোকচিত্রীরা পারষ্পরিক অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি বিনিময় করেন। উভয় দেশের উপস্থিত দর্শকরাও প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া বিভিন্ন আলোকচিত্র নিয়ে তাদের মন্তব্য ও অনুভূতি বিনিময় করেন। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ফটগ্রাফিক সোসাইটির সাধারন সম্পাদক ইউসুফ তুষার ‘কীভাবে ভালো ফটোগ্রাফার হওয়া যায়’ বিষয়ক একটি মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করেন। ক্লাসে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং বুয়েট নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্যরা। অধ্যাপক রশীদ সরকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির নিরাপত্তা বৈশিষ্ট সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ম্যাকসিম দবরোখোতভ উপস্থিত থেকে এএসই আলোকচিত্র প্রতিযোগীতায় সাফল্যের জন্য বাংলাদেশি আলোকচিত্রীদের সনদপত্র হস্তান্তর করেন।

নভোথিয়েটারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্রে আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি প্রতিদিন (বুধবার বাদে) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আগ্রহী পরিদর্শনকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

Int’l Photo Exhibition Begins at Novotheatre..