বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের প্রশংসা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বাংলাদেশ সফর নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং করছে। সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা।
বাংলাদেশে এমন উদ্যাপন আগে কখনও হয়নি। প্রতিবেশি প্রত্যেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এই উদ্যাপনে অংশ নিচ্ছেন। ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন। দূর দেশ থেকে অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন।
প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বাংলাদেশ সফরে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্ভাবনাগুলো আলোচনা হচ্ছে এবং হবে। অর্থনৈতিক আলোচনা আর সাংস্কৃতিক বিনিময় হচ্ছে। জমকালো অনুষ্ঠান দেখছে দেশবাসী। ১৭ই মার্চ শুরু হয়েছে। চলবে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। ২২শে মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারি আসবেন। ২৩শে মার্চ আসবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আর ২৬শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৭ই মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বাংলাদেশকে স্বতন্ত্র একটি পরিচয় দান করেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তিনি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মালদ্বীপকে নানা সঙ্কট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সঙ্কট দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবলোয় আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চাই।
১৯শে মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির যে প্রস্তাব তার সমর্থন দেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির যাত্রায় বাংলাদেশের সাথে একসাথে আছে এবং থাকবে।
সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গোপসারে সম্ভাবনা খুঁজতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতি জোরদার করার চিন্তাকে আরও উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কয়েক দশকে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির পথে। কৃষিক্ষেত্রে যৌথকাজের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ গত কয়েক দশক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখছে। এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দারিদ্র দূর করা ও উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এখনও কিছু চ্যালঞ্জ আছে।