ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসরণ করে একটি সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। একটি স্থিতিস্থাপক, জলবায়ু-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি কর্মকাণ্ডকে সতর্কতার সাথে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং সর্বোচ্চ প্রভাব নিশ্চিত করবে।
সচিবালয়ে ‘ক্লাইমেট পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের নেতৃত্বে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ও ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সবশেষ উদ্ভাবন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করব। সমাধানগুলো প্রাসঙ্গিক এবং আমাদের চাহিদা ও ল্যান্ডস্কেপ অনুযায়ী তৈরি করা হবে।
সভায় উভয় পক্ষ জ্ঞান বিনিময় এবং অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য নীতি বাস্তবায়ন সহ সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
জলবায়ু সমস্যা সমাধান এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এবং ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্টের আহ্বায়ক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান আলী ইজাদি, সিনিয়র এসোসিয়েটস ইয়াহু কিকুমা ও দক্ষিণ এশিয়ার টিম লিডার তরুণ বালাকৃষ্ণান।
এ সময় ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ব্লুমবার্গ এনইএফ প্রকাশিত ‘সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাঁকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা পরিবেশ মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
