বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সেরা কর দাতা

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরপর তিন বছর কোম্পানি পর্যায়ে অন্যতম সেরা আয়কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বিগত তিন অর্থবছরে (২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-২০১৪) ৩৯৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আয়কর দিয়ে এ মর্যাদা লাভ করেছে।
২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সেরা আয়কর দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান (পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান) ড. হোসেন মনসুরের হাতে ট্যাক্স কার্ড সম্মননা পত্র (CIP) প্রদান করা হয়।
সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৪০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা দেবেন। একইদিন সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে ৩৬৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকেও সম্মাননা দেওয়া হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত সেরা করদাতা ৪০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান জানান, বিগত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি জাতীয়ভাবে অন্যতম সেরা করদাতা সম্মননা লাভ করেছে। এটা কোম্পানির জন্য বিরাট সাফল্য ও গর্বের বিষয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কোম্পানি নয় লাখ ৩৩ হাজার টন কয়লা বিক্রি করে ৯৯৮ কোটি টাকা আয় করেছে। সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে প্রায় ৩০২ কোটি টাকা।

তিনি আরো জানান, দেশের প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে কয়লার ভূমিকা ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ খনি থেকে উৎপাদিত হচ্ছে উন্নত মানের (বিটুমিনাস) কয়লা। এর তাপজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। সালফারের পরিমাণ অত্যন্ত কম ও বড়পুকুরিয়ার কয়লা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। এই কয়লা শুধু পার্শ্ববর্তী ২৫০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদাই পূরণ করছে না, দেশের শিল্প কারখানা ও ইটভাটায়ও ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইটভাটায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা সরবরাহ করার ফলে বৃক্ষ নিধনের হার হ্রাস পাওয়ায় পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের সেরা করদাতা হিসেবে সোমবার এ কোম্পানিকে ট্যাক্স কার্ড সম্মননা দেওয়া হয়েছে।

খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কয়লার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব কয়লা বিক্রি করে খনির চার হাজার ২৫৮ দশমিক ১৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। এ থেকে ভ্যাট, রয়ালিটি ও ট্যাক্স বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে এক হাজার ৭৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা।