বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে খরচ বাড়ছে

 

বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।এবার বিদ্যুত্খাতে এক হাজার কোটি টাকা বেশি ভর্তুকি রাখা হচ্ছে।খরচ ও বিক্রির মধ্যে পার্থক্য করতে এই ভর্তুকি।আগামী অর্থ বছরে বিদ্যুত্খাতে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি রাখা হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।গত অর্থবছরে এর পরিমান ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে কাজ চলছে।বাজেটে এবার বিদ্যুত্খাতে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হতে পারে।কারণ এই পরিমান ভর্তুকিই প্রয়োজন হবে বিদ্যুৎ উত্পাদনে।গরমের সময় প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখা হবে বিবেচনায় এই ভর্তুকি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, উত্পাদন আর সরবরাহ খরচের পর গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎতে ভর্তুকি দিতে হয়  এক টাকা ৫০ পয়সা।গত অর্থবছর থেকে এবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উত্পাদন ও সরবরাহ খরচের ঘাটতি ইউনিট প্রতি ২০ পয়সা বেড়েছে।গত অর্থ বছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ভর্তুকি ছিল এক টাকা ৩৭ পয়সা।গতমাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও এখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ভর্তুকি এক টাকা ৫০ পয়সা।বিদ্যুৎ উল্পুয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাব অনুযায়ি, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উত্পাদন ও সরবরাহ খরচ প্রায় আট টাকা।বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ গড়ে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয় ছয় টাকা ১৫ পয়সা।

পর্যায়ত্রক্রমে প্রতিবছর বিদ্যুৎতে ভর্তুকির পরিমান বাড়ছে।যদিও ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই ভর্তুকির পরিমান কিছুটা কম ছিল।২০১১-১২ অর্থবছরে বিদ্যুৎতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল ছয় হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।২০১২-১৩ অর্থবছরে ভর্তুকি ছিল পাঁচ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা।২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ভর্তুকি ধরা হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকা।আগামী অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভর্তুকি ধরা হচ্ছে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ল ৬০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উত্পাদনে এসেছে।যার মোট উত্পাদন ক্ষমতা প‎াঁচ হাজার ৬০ মেগাওয়াট।এরমধ্যে সরকারি খাতে ২১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার উত্পাদন ক্ষমতা দুই হাজার ২৪৯ মেগাওয়াট এবং বেসরকারিখাতে ৩৯টি, যার উত্পাদন ক্ষমতা দুই হাজার ৩১১ মেগাওয়াট।৫০০ মেগাওয়াট আছে ভারত থেকে আমদানি করা।এই বিদ্যুতের মধ্যে গ্যাস ভিত্তিক দুই হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট।আর বাকী দুই হাজার ১৯৯ মেগাওয়াটই তরল জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।এই তরল জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্যই খরচ বাড়ছে।